শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৪ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়ার পরই তদন্তে নামে পুলিশ। ধরা পড়ে এ ঘটনার মূলহোতাসহ পাঁচজন। তবে ঢাকা বোট ক্লাবে পরীমনিকাণ্ডের পর আরো কিছু বিষয় খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এরই মধ্যে নিয়ম ভেঙে মধ্যরাতে কয়েকটি ক্লাবে এই নায়িকার যাতায়াত ও মদ্যপানের তথ্য পেয়েছেন তারা।
এদিকে, বুধবার পরীমনির বিরুদ্ধে ক্লাবে ভাঙচুরের অভিযোগে গুলশান থানায় জিডি করেছে গুলশানের অল কমিউনিটি ক্লাব লিমিটেড। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।
গুলশানের একটি অভিজাত ক্লাবের বার বয়ের বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করেছে বনানী থানা পুলিশ। এছাড়া আরো কয়েকটি অভিজাত ক্লাবের কর্মকর্তারা পুলিশকে জানিয়েছেন, মধ্যরাতে নিয়ম ভেঙে পরীমনির জন্য বার খোলা রাখতে হয়। মদের আসর বসানোর গল্পও পুলিশকে বলছেন এসব ক্লাব কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, বোট ক্লাবকাণ্ডের আগের রাতে গুলশান অল কমিউনিটি ক্লাবের দলবল নিয়ে ঢোকেন আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। মধ্যরাতে সেখানে তিনি ভাঙচুর করেন। এ ঘটনার তদন্তে বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে গুলশান থানা পুলিশ।
পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, ৮ জুন রাতে বোট ক্লাবকাণ্ডের তদন্তে নেমে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরোচ্ছে। তার ব্যাপারে জানাতে ঢাকার একাধিক সোশ্যাল ক্লাবের কর্মকর্তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন।
পুলিশ ও গোয়েন্দাদের ক্লাব কর্মকর্তারা জানান, পরীমনি তার কস্টিউম ডিজাইনার জিমিসহ কয়েকজন যুবক-যুবতী নিয়ে প্রায় রাতেই অভিজাত ক্লাব ও তারকা হোটেলে ঘুরে বেড়াতেন। তাদের সঙ্গে নিয়ে মধ্যরাত পর্যন্ত মদ খেতেন। এক্ষেত্রে প্রায় রাতেই তার কারণে ক্লাবের আইন ভাঙা হতো। বিশেষ করে হাফপ্যান্ট পরে তার সঙ্গী হওয়া জিমি ড্রেসকোডের তোয়াক্কা করতেন না কখনোই। এক ক্লাবে সময় কাটিয়ে তিনি যেতেন আরেক ক্লাবে।
গুলশান পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, ৩ জুন রাত ১২টার পর পরীমনি, তার সাবেক প্রেমিক তামিম হাসান ও দুটি বেসরকারি টেলিভিশনের দুজন কর্মকর্তা পরিচয়ধারীকে নিয়ে গুলশানের একটি অভিজাত ক্লাবে যান। তখন তারা মদ্যপ ছিলেন। ক্লাবে ঢুকে পরীমনি ও অন্যরা বার ব্যবহার করতে চান। বার বয় জালাল এতে অসম্মতি জানালে পরীমনি তার গালে চড় মারেন। ক্লাব কর্মকর্তারা বেসামাল আচরণের প্রতিবাদ করলে তিনি নিজেই পুলিশে কল করেন। পরে ঘটনাস্থলে যায় গুলশান থানা পুলিশের দুটি পিকআপ ভ্যান। পরে তারা বুঝিয়ে পরীমনিকে বাসায় পাঠান।
Leave a Reply